কাশ্মীর সংঘাতে ২৫০’র বেশি ভারতীয় সেনা নিহত।
অনলাইন ডেস্ক | Finix News
আপডেট: রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫ | ১৭:১৮
কাশ্মীরের পেহেলগাম কেন্দ্রিক সামরিক উত্তেজনার জেরে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে ২৫০ জনেরও বেশি ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সামা টিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়, নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর সংঘর্ষে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটলেও ভারত সরকার তা গোপন রাখছে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা থেকে বিরত রয়েছে।
মরণোত্তর সম্মাননা, তবুও নীরবতা:
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, নিহত সেনাদের মধ্যে একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও যুদ্ধবিমান পাইলট রয়েছেন। ভারত সরকার গোপনে অন্তত ১০০ জন সেনাকে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদানের পরিকল্পনা করেছে। সম্মাননাপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন:
- ৩ জন রাফাল পাইলটসহ মোট ৪ জন পাইলট
- ভারতীয় বিমানবাহিনীর ৭ সদস্য
- ১০ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের ‘জি-টপ’ পোস্টে দায়িত্বরত ৫ জন সেনা
- ৯৩ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেড হেডকোয়ার্টারের ৯ জন সদস্য
- আদমপুর বিমানঘাঁটির এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিটের ৫ জন অপারেটর
তথ্য গোপন এবং পরিবারের ওপর চাপ:
পাকিস্তানি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি বা তথ্য প্রকাশ না করতে মৌখিক ও লিখিতভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। সরকার চাইছে যেন এসব মৃত্যু বা সামরিক ক্ষয়ক্ষতি কোনোভাবেই জনসম্মুখে প্রকাশ না পায়।
তথ্য-সংকটের মুখে ভারত?
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সামরিক সংঘর্ষের বাস্তবতা আড়াল করতে গিয়ে ভারত তথ্য-যুদ্ধে হেরে যাচ্ছে। পাঠানকোট ও উদমপুর বিমানঘাঁটিতে ক্ষতির তথ্য স্বাধীন ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়াও প্রকাশ করলেও সরকারিভাবে তা অস্বীকার করা হচ্ছে।
পাকিস্তানি অভিযানের সফলতা দাবি:
প্রতিবেদনে পাকিস্তানের চালানো ‘অপারেশন বুনিয়ানুম-মারসুস’–এর সফলতার কথাও তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংস ও স্থলঘাঁটি লক্ষ্য করে সুনির্দিষ্ট হামলার দাবি করা হয়। দুই দেশের মধ্যে বর্তমান উত্তেজনা পরিস্থিতিতে এ ধরনের প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও উদ্বেগ তৈরি করেছে।
📌 Finix News যুদ্ধক্ষেত্রে তথ্যের স্বচ্ছতা, নাগরিক নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার পক্ষে।
📧 যোগাযোগ: [email protected]