Saturday, June 7, 2025
Homeমূলপাতানেতৃত্বে আসছেন জামাত নেতা এ টি এম আজহার, বড় দায়িত্বের আভাস।

নেতৃত্বে আসছেন জামাত নেতা এ টি এম আজহার, বড় দায়িত্বের আভাস।

জামাতের নেতৃত্বে আসছেন এটিএম আজহার? আপাতত শূরার সদস্য, সামনে নায়েবে আমির হতে পারেন:

🔺 Finix News – ফিনিক্স নিউজ ডেস্ক: 

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামাত-ই ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বেকসুর খালাস পাওয়ার পর জামায়াতের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। মুক্তির পরদিনই শাহবাগে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়, আর এখন দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তাঁর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে আলাদা কক্ষ।

তবে এখনো তাঁকে কোনো পদে নিযুক্ত করা হয়নি। তবে দলীয় সূত্র বলছে, তাঁকে নায়েবে আমির করা হতে পারে, যা দলের নেতৃত্ব কাঠামোতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ।

নেতৃত্বে আসছেন জামাত নেতা এ টি এম আজহার, বড় দায়িত্বের আভাস।
নেতৃত্বে আসছেন জামাত নেতা এ টি এম আজহার, বড় দায়িত্বের আভাস। জামতের রাজনীতিতে নতুন মোর।

কারাবন্দী থেকেও শূরার সদস্য!

জামায়াতের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, দলের রুকনরা ভোট দিয়ে মজলিসে শূরার সদস্য নির্বাচন করেন। আশ্চর্যের বিষয়, আজহারুল ইসলাম ১৩ বছর কারাবন্দী অবস্থাতেও মজলিসে শূরার সদস্য ছিলেন। গোপন ব্যালটে কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি অংশ নির্বাচিত হয়, সেখানেই বারবার নির্বাচিত হন আজহার।

দলের একাধিক সূত্র জানায়, মজলিসে শূরার মোট সদস্য প্রায় ৩০০। এর মধ্যে একটি অংশ সরাসরি রুকনদের ভোটে, আরেক অংশ গোপন ব্যালটে এবং তৃতীয় অংশ আমির কর্তৃক মনোনয়ন পায়।


আমির হবার সুযোগ এখনই নেই:

জানা গেছে, বর্তমান আমির ডা. শফিকুর রহমানের মেয়াদ ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। নতুন আমির নির্বাচনের সময় তিনজনের একটি তালিকা তৈরি হবে, যাদের মধ্য থেকে রুকনরা ভোট দিয়ে আমির নির্বাচন করবেন। ফলে আজহারের আমির হওয়ার পথ এখনই উন্মুক্ত নয়।


শপথ বাক্য বাকি, পদ পেতে শর্ত:

আজহার এখনো জামায়াতের আনুষ্ঠানিক শপথ নেননি, যা দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আবশ্যক। শপথ গ্রহণের পর আমির চাইলে তাঁকে যেকোনো পদে নিযুক্ত করতে পারেন, তবে এক্ষেত্রে নির্বাহী পরিষদ বা কর্মপরিষদের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।


কী বলছে জামায়াত?

জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম বলেন,

“তিনি মাত্রই মুক্তি পেয়েছেন। তাঁর চিকিৎসা, বিশ্রাম ও সুস্থতা আমাদের প্রধান বিবেচ্য। দলের আমির যা সমীচীন মনে করবেন, সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হবে।”


প্রেক্ষাপট:

২০১১ সালে রাজধানীর মগবাজার থেকে গ্রেপ্তার হওয়া এ টি এম আজহারুল ইসলাম ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল। কিছু সময়ের জন্য ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্বও পালন করেন। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সর্বসম্মত রায়ে ২৮ মে ২০২৫ তারিখে তাঁকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।


📌 বিশেষ দ্রষ্টব্য:
এই প্রতিবেদন Finix News-এর পক্ষ থেকে রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা বজায় রেখে প্রস্তুত করা হয়েছে। মতামত ও তথ্যসূত্র সরাসরি সংশ্লিষ্ট দলীয় নেতৃবৃন্দের বক্তব্য ও প্রকাশ্য গঠনতন্ত্র থেকে সংগৃহীত।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments