মহাকাশে বিস্ফোরিত হলো স্পেসএক্সের নবম টেস্ট ফ্লাইট | উৎক্ষেপণের ৩০ মিনিট পরই নিয়ন্ত্রণ হারায় রকেট।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | Finix News | ফিনিক্স নিউজ | ২৮ মে ২০২৫
উৎক্ষেপণের মাত্র ৩০ মিনিট পরই মহাকাশে বিস্ফোরিত হয়েছে স্পেসএক্সের নবম পরীক্ষামূলক রকেট স্টারশিপ। সফলভাবে কক্ষপথে পৌঁছালেও কিছুক্ষণের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রকেটটি ঘূর্ণায়মান হয়ে পড়ে এবং এক পর্যায়ে বিস্ফোরিত হয়।
বুধবার (২৮ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজ এ তথ্য জানায়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ফুয়েল লিকের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে স্পেসএক্স কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, স্থানীয় সময় সকালেই টেক্সাসের একটি লঞ্চপ্যাড থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় টেস্ট ফ্লাইটটি। নির্ধারিত সময়ের আগেই এটি কক্ষপথে পৌঁছায়। কিন্তু কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জনে ব্যর্থ হয় এই ফ্লাইট—যেমন মহাকাশে নকল স্যাটেলাইট মোতায়েন এবং ইঞ্জিন পুনরায় চালুর চেষ্টা।
এর আগেও গেল বছর মাত্র দু’মাসের ব্যবধানে স্পেসএক্সের অষ্টম পরীক্ষামূলক রকেট মহাকাশে বিস্ফোরিত হয়েছিল।
স্পেসএক্স এক্স-এ (সাবেক টুইটার) লিখেছে,
“এই ধরনের টেস্টে সাফল্য নির্ভর করে আমরা কী শিখলাম তার ওপর।”
স্টারশিপ প্রোগ্রাম ও অর্থায়ন:
স্টারশিপ প্রোগ্রামের প্রতিটি ফ্লাইটে খরচ হয় প্রায় ৫০ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার, জানিয়েছে স্পেসএক্স। যদিও স্পেসএক্স নিজেই বেশিরভাগ খরচ বহন করে, তবে নাসা চাঁদে নভোচারী পাঠানোর লক্ষ্যে এই প্রোগ্রামে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করেছে, যা ধাপে ধাপে দেওয়া হচ্ছে।
স্পেসএক্সের মালিক ইলন মাস্ক বলেন,
“প্রতিটি ব্যর্থতাই আমাদের ভবিষ্যতের মিশনের জন্য একটি শিক্ষণীয় ধাপ।”
শেষ কথা:
স্টারশিপ প্রোগ্রাম উচ্চাভিলাষী হলেও, এর টেস্টিং প্রক্রিয়ায় ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা প্রতিনিয়ত সামনে আসছে। তবে স্পেসএক্স জানিয়েছে, তারা প্রত্যেক ব্যর্থতাকে ভবিষ্যতের সাফল্যের পথে এক একটি ধাপ হিসেবেই দেখছে।
📧 যোগাযোগ: info@finixnews.com
📌 প্রকাশনায়: Finix Science & Tech Desk