জনপ্রতিনিধিরা হবেন জনগণের সেবক: চীন মৈত্রী সম্মেলনে রিজভীর বক্তব্য।
🕓 আপডেট: শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ | নিজস্ব প্রতিবেদক। ঢাকা:
জনপ্রতিনিধিদের প্রতি দায়িত্ববোধ ও জবাবদিহিতার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “জনপ্রতিনিধিরা হবেন জনগণের সেবক। যারা নির্বাচিত হবেন, তাদের প্রতিটি পদক্ষেপ জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক হতে হবে।”
শনিবার (২৮ জুন) রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপির চলমান ৩৬ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
“গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য সন্তান হারানো পরিবারগুলোকে দিতে হবে মর্যাদা”
রিজভী বলেন, “যাদের সন্তানরা গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য পৃথিবী থেকে চলে গেছেন, এই জুলাই ও আগস্ট মাসে তাদের প্রতি আমাদের বিশেষ শ্রদ্ধা ও মর্যাদা দেখাতে হবে। কর্মসূচি যেন ভাবগাম্ভীর্য ও সম্মানজনকভাবে পালন করা হয়, সেটাই আমাদের প্রধান দায়িত্ব।”
তিনি আরও বলেন, “আমি দৃঢ়ভাবে বলবো, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এই আন্দোলনের মূল আর্কিটেক্ট। গোটা জাতিকে তিনি উদ্বুদ্ধ করেছেন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে অংশ নিতে। তার নির্দেশেই আমরা এই কমিটি পরিচালনা করছি, যাতে কর্মসূচি সফলভাবে এবং মর্যাদার সঙ্গে শেষ করা যায়।”
“নির্বাচন হতে হবে সংস্কার শেষে, যৌক্তিক সময়ে”
সরকারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, “সরকারের ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতেই পারে। সে বিষয়ে গঠনমূলক সমালোচনা করতে হবে। তবে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সংস্কার শেষে একটি যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া দরকার।”
তিনি বলেন, “এই ৩৬ দিনের কর্মসূচি আমরা কেমনভাবে সাজিয়েছি, কীভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে—তা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেছি। অনুষ্ঠানটি মর্যাদাপূর্ণ করতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”
“অন্তর্বর্তী সরকার চাই জাতিকে মুক্তি দিতে”
অর্থনৈতিক, সামাজিক সংকট এবং ‘মব কালচার’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, “দেশে অর্থনৈতিক সংকট রয়েছে, সামাজিক মূল্যবোধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। মব কালচার বা উগ্রতা জাতিকে ক্রমশ নিঃশেষ করে দিচ্ছে। এ অবস্থা থেকে জাতিকে মুক্ত করার দায়িত্ব একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিতে হবে।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “এই কর্মসূচি শুধু দলীয় নয়, জাতীয় দায়িত্ব। জাতির ভবিষ্যৎ রক্ষার জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।”
📌 সংবাদ পরিবেশনায়: Finix News
📎 ফেসবুকে আরও আপডেট পেতে অনুসরণ করুন: @FinixNews