কুড়িগ্রাম যাত্রাপুর হাটে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী নেতার গ্রেপ্তার, পরদিন জামিন | Finix News
ফিনিক্স প্রতিবেদন | Finix News |তারিখ: ২৮ মে ২০২৫
স্থানীয় প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর পশুর হাটে চাঁদাবাজির অভিযোগে সেনাবাহিনীর হাতে আটক বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতাকে পরদিন আদালত জামিনে মুক্তি দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) ফেনী থেকে যাত্রাপুর হাটে পশু বিক্রি করতে আসা ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন আজাদের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী বিএনপি নেতা মাহাবুবার রহমান (৫৮) ও বৈষম্যবিরোধী সংগঠক আলমগীর হোসেন (২৭)-কে আটক করে। পরে কুড়িগ্রাম সদর থানায় দণ্ডবিধির ৩৮৬ ধারায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের হয়।
বুধবার দুপুরে তাদের কুড়িগ্রাম মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হলে সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট লিটন চন্দ্র তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
অভিযোগের বিবরণ:
ব্যবসায়ী আজাদ জানান, তিনি যাত্রাপুর হাটে ১৭টি মহিষ কিনলে ইজারাদারের পক্ষ থেকে প্রতিটি মহিষের জন্য ৫০০ টাকা করে মোট ৮,৫০০ টাকা আদায় করা হয়, কিন্তু তাকে বিক্রির কোনো বৈধ চালান কপি সরবরাহ করা হয়নি। ফলে তিনি সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ করেন।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, অভিযুক্তরা হাটের ইজারার কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাদের আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে পুলিশ মামলার প্রেক্ষিতে তাদের গ্রেপ্তার দেখায়।
প্রতিরক্ষা ও ব্যাখ্যা:
বিএনপি নেতা মাহাবুবার রহমান সাংবাদিকদের জানান, “আমরা হাটের ইজারা সর্বোচ্চ দর দিয়ে গ্রহণ করেছি। ইউএনও কার্যালয় থেকে সঠিক সময়ে অনুমোদনের কাগজ না পাওয়ায় আমরা রসিদ মূলে টাকা নিয়েছি। সময় পেলে কাগজপত্র দেখাতে পারতাম।”
প্রশাসনের বক্তব্য:
কুড়িগ্রাম সদর ইউএনও সাঈদা পারভীন জানান, “যথাযথ প্রক্রিয়ায় দরপত্র আহ্বান করা হয়। চূড়ান্তভাবে মঙ্গলবার মাহাবুবার রহমানকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”
আইনজীবীর ভাষ্য:
আসামি পক্ষের আইনজীবী আশরাফ আলী বলেন, “মামলাটি মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আদালত সব দিক বিবেচনা করে অভিযোপত্র না আসা পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন।”