Sunday, June 29, 2025
Homeকুড়িগ্রামভূরুঙ্গামারীকুড়িগ্রামের সূর্যসন্তান এডিশনাল এসপি ফারুক আহমেদ।

কুড়িগ্রামের সূর্যসন্তান এডিশনাল এসপি ফারুক আহমেদ।

পিপিএম সেবা পদক পেয়েও শেকড় ভোলেননি এডিশনাল এসপি ফারুক আহমেদ।

জনবান্ধব পুলিশিং ও অপরাধ দমনে অবিস্মরণীয় অবদান, নিজ এলাকায় গর্বের প্রতীক।

📅 প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৫ | Finix News ডেস্ক

নিজ এলাকায় আস্থা ও ভালোবাসার নাম “ফারুক ভাই” :

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সন্তান ফারুক আহমেদ শুধু একজন পুলিশ কর্মকর্তা নন, তিনি তার নিজ এলাকায় একজন জনদরদী ও মানবিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত।

পিপিএম-সেবা পদক পেয়েও শেকড় ভোলেননি এডিশনাল এসপি ফারুক আহমেদ।
পিপিএম-সেবা পদক পেয়েও শেকড় ভোলেননি এডিশনাল এসপি ফারুক আহমেদ।

২০১৩ সালে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের অফিসার হিসেবে চাকরি জীবনের সূচনা করার সময় থেকেই তিনি এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। স্থানীয় শিক্ষা, চিকিৎসা ও সামাজিক সমস্যা নিয়ে তিনি বরাবরই সক্রিয় থেকেছেন।

ভুরুঙ্গামারীর বহু সাধারণ মানুষ তাঁকে এখনো “ফারুক ভাই” নামেই ডাকেন এবং গর্ববোধ করেন। অনেকেই বলেন, “আমাদের ছেলে আজ দেশের গর্ব হয়ে উঠেছে।”

জনবান্ধব পুলিশিং ও অপরাধ দমনে অবিস্মরণীয় অবদান, নিজ এলাকায় গর্বের প্রতীক:

পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫ উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্রীয় পদক প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (পিপিএম)-সেবা পদকে ভূষিত হয়েছেন নীলফামারী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ফারুক আহমেদ
জনবান্ধব পুলিশিং, অপরাধ দমন এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি এই সম্মান অর্জন করেন।

রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে অনুষ্ঠিত পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫–এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর হাতে এই পদক তুলে দেন।

২০২৪ সালের ১ জুন থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালনে অসাধারণ কর্মনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলাবোধ প্রদর্শনের মাধ্যমে তিনি পুলিশের জন্য অনন্য অবদান রাখেন। রংপুর রেঞ্জ থেকে একমাত্র তিনিই এ বছর এই সম্মান লাভ করেন, যা তাঁর যোগ্যতার প্রকৃত স্বীকৃতি।

আকর্ষণীয় পেশাগত ও শিক্ষাজীবন:

তিনি ২০০৪ সালে গোপালপুর হামিদা খানম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ভুরুঙ্গামারী ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) ডিগ্রি অর্জন করেন।

২০১৬ সালে বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশ বিভাগে যোগ দেন।

সহজ জীবনে সৎ দায়িত্ববোধ:

শখের বসে তিনি নিজ বাড়িতে ছোট একটি গবাদিপশুর খামার পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, “পশু চিকিৎসা ছিল আমার পড়াশোনার বিষয়, তাই খামারটা ভালোবাসার জায়গা।”

এই সরলতা ও দায়িত্ববোধই তাঁকে সাধারণ মানুষ থেকে আলাদা করে তুলেছে।

প্রতিক্রিয়ায় কৃতজ্ঞতা ও প্রতিশ্রুতি:

পদক প্রাপ্তির পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন,
“এই সম্মান আমার দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিল। জনবান্ধব পুলিশিং নিশ্চিত করতেই আমার প্রতিটি প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমি কৃতজ্ঞ মহান আল্লাহ, আমার সহকর্মী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রিয় এলাকাবাসীর প্রতি।”

আরও পড়ুন | Read More

সর্বাধিক পঠিত