Monday, June 30, 2025
Homeবাংলাদেশমায়ের স্ট্রোক: এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে ব্যর্থ শিক্ষার্থী, সামাজিক মাধ্যম তোলপাড়।

মায়ের স্ট্রোক: এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে ব্যর্থ শিক্ষার্থী, সামাজিক মাধ্যম তোলপাড়।

মায়ের স্ট্রোক: মিরপুর বাংলা কলেজ কেন্দ্রের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে ব্যর্থ শিক্ষার্থী, সামাজিক মাধ্যম তোলপাড়।

    Finix News | ২৬ জুন ২০২৫

  • বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ১০টায় দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে HSC-এর প্রথম দিনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ১২.৫ লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।
  • রাজধানীর সরকারি মিরপুর বাংলা কলেজ কেন্দ্রে এক নারী শিক্ষার্থী তার পরীক্ষার প্রবেশদ্বার না পেয়ে কাঁদতে দেখা যায়, ভিডিও ও ছবিতে তার অশ্রুপূর্ণ দৃশ্য দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

    মায়ের স্ট্রোক: এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে ব্যর্থ শিক্ষার্থী, সমাজে তোলপাড়।
    মায়ের স্ট্রোক: এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে ব্যর্থ শিক্ষার্থী, সমাজে তোলপাড়।

👩‍👧‍👦 পারিবারিক ব্যাধি ও তাত্ক্ষণিক সংকট:

  • জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থীর বাবা না থাকায় মায়ের ওপর নির্ভর ছিল তার একমাত্র সন্তান হিসেবে। পরীক্ষার দিন তার মা মেজর স্ট্রোক করেন, যার ফলে হাসপাতালে হঠাৎ নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।
  • পরিবারের অন্য কেউ না থাকায় মেয়েটি নিজ দায়িত্বে সব সামলিয়ে মাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়। হাসপাতাল থেকে বের হয়ে কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে ছুটলেও যথাসময়ে পৌঁছাতে পারেননি।

⏱️ সময়সূচীর কঠোরতা ও প্রবেশাধিকারের অবস্থা:

  • পরীক্ষার শুরুতে কেন্দ্র বেশি না করেই প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেওয়া হয়—একই নিয়ম সারাদেশে মেনে চলা হয়।
  • কেন্দ্র সচিব জানান, “নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের পর প্রবেশদ্বার বন্ধ করা হয়। পরীক্ষার্থী স্ব-বিবেচনায় সঠিক সময়ে না পৌঁছালে তাকে প্রবেশ করতে দেয়া যায় না।”

😢 ভাইরাল ভিডিও ও জনমতের প্রতিক্রিয়া:

  • সোশ্যাল মিডিয়ায় অধ্যবসায়ী ভিডিওতে দেখা যায় মেয়েটি দুশ্চিন্তায় কাঁদছে—হাসপাতাল থেকে দৌড়ে আসার পরও দরজা পার হতে না পারার বেদনা।
  • জনমত দেখা দিয়েছে, যেখানে অনেকেই বিষয়টির প্রতি ক্ষমাশীলতা চাইছেন—পরীক্ষায় পারিবারিক জরুরি কারণে দেরি হওয়া উচিৎ নয় এমন কঠোর মনোভাবটুকু ন্যায়সঙ্গত না।

⚖️ বিতর্ক: নিয়ম বনাম মানবিক সহানুভূতি:

বিষয় কেন্দ্র প্রশাসন সামাজিক প্রতিক্রিয়া
প্রবেশাধিকারের সময় নির্দিষ্ট সময়ের পরে প্রবেশ বন্ধ জরুরিতে কিছুটা নমনীয়তা প্রয়োজন
মানবিক বিবেচনা নিয়মই ছিল প্রম্পট সিদ্ধান্তের ভিত্তি আক্রান্ত শিক্ষার্থীর রূঢ় বাস্তবজীবনের বাস্তব বোঝাপড়া দরকার
ভবিষ্যতের করণীয় প্রয়োজনে ‘গ্রেস পিরিয়ড’ চালু করা যেতে পারে শিক্ষাক্ষেত্রে মানবিক ভিন্নমত বিবেচনার আহ্বান

✳️ বিশেষ পরামর্শ ও পরবর্তী পদক্ষেপ:

১. শিক্ষামন্ত্রণালয় ও বোর্ড কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ
অনাকাঙ্ক্ষিত, জরুরি পরিস্থিতিতে পারিবারিক দায়িত্ব পালনকারী পরীক্ষার্থীদের জন্য অন্তত ১৫–৩০ মিনিটের ‘গ্রেস সময়’ দেওয়া।

২. কেন্দ্র পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ কমিটি
অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থীদের সনাক্ত করে গ্রেস অনুমতি দেওয়া ও প্রয়োজনে হাসপাতাল থেকে পরীক্ষার জন্য সংযুক্ত হওয়ার পথ সহজ করা।

৩. পর্যালোচনা ও নিয়ম সংশোধন
ভবিষ্যতে এমন ঘটনা পুনরাবৃত্তি রোধে নিয়মাবলিতে বিশেষ সংযোজন—‘জরুরি পারিবারিক পরিস্থিতিতে নমনীয়তা’।

মায়ের স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ পারিবারিক অপ্রত্যাশিত ঘটনার কারণে পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা শিক্ষার্থীর মানবিক বিপর্যয় মন খারাপ করেছে অনেককে। যেখানে নিয়ম-কানুন রয়েছে সেবার আমলে, সেখানে মানবিক মানবিক প্রয়োজনে বিবেচনার জন্য স্কুল, কলেজ ও বোর্ড প্রশাসনের নীতিতে সামান্য নমনীয়তা নিয়ে ভবিষ্যতে সংকটময় পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছে সমাজ—এই বার্তাই তুলে দিয়েছে ভাইরাল ভিডিওটি।


প্রতিবেদনটি সামাজিক মাধ্যম, শিক্ষাবোর্ডের মন্তব্য ও বিচারপ্রবণ জনমত থেকে গৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি।

আরও পড়ুন | Read More

সর্বাধিক পঠিত