ইরান ইজরাইল যুদ্ধ, উত্তেজনা চরমে: হাইফায় ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা, পাল্টা হুমকি আইআরজিসি’র।
ইরান ইজরাইল যুদ্ধে ইরান সরাসরি ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় শহর হাইফায় উপর একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
📅 রিপোর্ট: ১৫ জুন ২০২৫ | স্থান: তেহরান, তেল আভিভ ও হাইফা
মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সামরিক সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে। ইরান দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলের রাজধানী তেল আভিভসহ বিভিন্ন কৌশলগত স্থাপনার উপর একটি “বৃহৎ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা” চালিয়েছে। অপরদিকে, ইসরায়েল নিশ্চিত করেছে যে তারা তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সাথে সংশ্লিষ্ট অবকাঠামোতে একাধিক আক্রমণ পরিচালনা করেছে।
🔴 হাইফায় ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: বহু ক্ষয়ক্ষতির খবর:
ইরান সরাসরি ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় শহর হাইফায় উপর একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় সূত্র এবং সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হামলায় ব্যাপক বিস্ফোরণ, অগ্নিকাণ্ড এবং অবকাঠামোর ধ্বংস হয়েছে। হাইফার সমুদ্রবন্দর, শিল্প এলাকা এবং আবাসিক ভবনগুলো আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হামলায় বহু মানুষ আহত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তবে মৃতের সংখ্যা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। উদ্ধার কাজ চলছে এবং হাসপাতালগুলোতে জরুরি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
🔵 ইসরায়েলের জবাব: পারমাণবিক কর্মসূচির স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু:
এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) জানিয়েছে, তারা ইরানের রাজধানী তেহরানে এবং আশপাশের এলাকায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সাথে সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি অবকাঠামোতে আক্রমণ চালিয়েছে। লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে:
- ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর
- একটি প্রতিরক্ষা গবেষণা প্রতিষ্ঠান
- নিরাপদ তথ্য সংরক্ষণ কেন্দ্র যেখানে ইসরায়েল দাবি করেছে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির গোপন তথ্য রাখা ছিল
⚠️ আইআরজিসি’র হুমকি: আরও তীব্র হামলার আশঙ্কা:
এই ঘটনার পর, ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (IRGC) একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে যেখানে তারা বলে:
“যদি ইসরায়েল আবার ইরানের ভূখণ্ডে হামলা চালায়, তবে আমরা আরও দ্রুতবেগে, আরও তীব্র ও বিস্তৃত হামলা চালাবো। প্রতিটি হামলার জবাব দেওয়া হবে কঠোরভাবে।”
আইআরজিসি আরও দাবি করেছে, ইসরায়েলি হামলায় ব্যবহৃত তিনটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ১০টি ড্রোন এবং বেশ কয়েকটি ছোট শত্রু ড্রোন তারা ভূপাতিত করেছে।
🌍 আন্তর্জাতিক উদ্বেগ ও প্রতিক্রিয়া:
এই সংঘর্ষ ঘিরে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ বাড়ছে। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং রাশিয়া—সবাই উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকারও প্রস্তুতি চলছে।
📌 পরিস্থিতির সারাংশ:
বিষয় | বিবরণ |
---|---|
হামলার স্থান | তেল আভিভ, হাইফা, তেহরান |
ব্যবহৃত অস্ত্র | ড্রোন, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র |
ক্ষয়ক্ষতি | হাইফায় বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ড, তেহরানে সামরিক স্থাপনা ধ্বংস |
জবাবি প্রতিক্রিয়া | আইআরজিসি’র পাল্টা হামলা ও হুমকি |
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া | জাতিসংঘ ও অন্যান্য রাষ্ট্রের উদ্বেগ |
বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনাগুলো মধ্যপ্রাচ্যে একটি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের পূর্বাভাস হতে পারে। ইরান ও ইসরায়েল উভয় পক্ষই পারস্পরিক পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, যার প্রভাব আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক রাজনীতিতে পড়বে নিশ্চিতভাবে।
📍 সতর্কবার্তা: পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। নতুন তথ্য এলে তা জানানো হবে।